প্রবাসীদের না থাকায় আমরা দুখিঃত। তালিকা পাওয়া মাত্র আপডেট করা হবে। নিচে মন্ত্রী মহোদয়ের জীবন বৃত্তান্ত
জনাব নুরুল ইসলাম বি.এসসি
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি-এর জীবনবৃত্তান্ত
জনাব নুরুল ইসলাম বিএসসি চট্টগ্রাম শহরের উপকন্ঠে চান্দগাঁওয়ে এক সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা তজুমিয়া ছিলেন একজন ধার্মিক ও দানশীল ব্যক্তি। মায়ের নাম হাজেরা খাতুন। নুরুল ইসলাম বিএসসি চট্টগ্রাম এনএমসি মডেল হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএসসি এবং বিএসসি পাস করেন।
তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, শিল্পপতি সমাজসেবক ও লেখক। তিনি ৩২টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার গ্রন্থ সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সংকটে আবর্তে বাংলাদেশ, একান্ত ভাবনা (৪র্থ সংস্করণ), আমার আপনার ভাবনা (৩য় সংস্করণ), দেশে মুরগীর পেরেন্ট স্টক ও করণীয় কাজ সমূহ, Solitary thoughts (2nd Edition), Does a man get what he desires, Use and influence of powder milk in the third world countries, From zero to hundred, রাজনীতির এপিট ওপিট (২য় সংস্করণ), শূন্য থেকে শ’ (২য় সংস্করণ), চট্টগ্রামের মানুষ ও সংস্কৃতি, ছোট ব্যবসা বড় লাভ, আমার দেখা রাজনীতি (২য় সংস্করণ), আত্মঘাতী রাজনীতির ধারা, সংস্কার মাইনাস টু মুক্ত চিন্তা, ছোটদের স্বাধীনতার প্রথম অধ্যায়, ছোটদের শেখ হাসিনা, ছোটদের ৬ দফা, বিবর্তন, অরণ্যের কাছে ইত্যাদি।
এছাড়া তিনি অনেক গুলো নাটক ও মঞ্চ নাটকের রচয়িতা। তার মধ্যে উল্লখযোগ্য নাটকগুলো হলো- আর কত কাল, পাঠাগার, একান্ত ভাবনা, জীবন, তার রচিত ‘মা’ নাটক থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়েছে। তিনি ইলেকট্রনিক মিডিয়াতেও একজন সুপ্রতিষ্ঠিত নাট্যকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার জীবন র্শীষক নাটকটি সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। র্বতমানেও তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে আসছেন। তার অনেক লেখা দেশ ও জাতির কল্যাণে দিক নির্দেশনা স্বরুপ।
শিক্ষানুরাগী হিসেবে নুরুল ইসলাম বিএসসি এ র্পযন্ত প্রায় ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হাজেরা-তজু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, দিলোয়ারা জাহান মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, নুরুল ইসলাম পৌর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, সানোয়ারা ইসলাম বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সানোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়, দিয়াকুল সানোয়ারা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কোলাপাড়া সানোয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সানোয়ারা ফার্ম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাফেজনগর ফাতেমা বেগম প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁন্দগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোদালকাটা সানোয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নুরুল ইসলাম বিএসসি ভ্রাম্যমান প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন গরীব ও বস্তিবাসী মেয়েদের জন্য। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ভ্রাম্যমান স্কুলটি দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশ সমাজ নির্মাণে বিশেষ ভূমিকার জন্য তাকে ২০০২ সালে জাতিসংঘ এওয়ার্ড প্রদান করে। ২০১১ সালে শিক্ষায় অবদানের জন্য তিনি ইউনেস্কো পুরুস্কার লাভ করেন। তিনি ধারা স্বর্ণপদক, রিডাস ফোরাম পদক, সূর্যসেন পদক (কোলকাতা), বারিসাস পদকসহ অনেক গুলো পদকে ভূষিত হন।
৫২ এর মহান ভাষা তখনকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র নুরুল ইসলাম বিএসসি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের মিছিলে সামিল হয়ে, লাল দিঘির ময়দানে মিছিল করেছিলেন।
১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় তাঁর এক বিশেষ ভূমিকা ছিল। রেডিও সম্প্রসারণ কেন্দ্র ছিল চান্দগাঁও। এই রেডিও স্টেশনকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল প্রতিরোধ আন্দোলন। এই আন্দোলনে নুরুল ইসলাম বিএসসি সহ ১৫-২০ জন যুবক চান্দগাঁও রেডিও স্টেশন ঘিরে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেন। পরে এখান থেকে স্বাধীন বাংলার বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান প্রচার শুরু হয়েছিল।
জনাব নুরুল ইসলাম বিএসসি স্কুল জীবন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। এর পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আজ র্পয্ন্ত একই সংগঠনে আছেন। র্বতমানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রত্যাবর্তনের আন্দোলন ও সংগ্রামে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
ক্লীন ইমেজের অধিকারী নুরুল ইসলাম বিএসসি রাজনীতি ছাড়াও ব্যক্তিগত চরিত্র ও আচরণে অমায়িক এবং বিনয়ী হিসেবে সকলের নিকট পরিচিত। এই সংগ্রামী রাজনীতিকের পরপোকার, বদান্যতা, সাহিত্য, সঙ্গীত ও সুকুমার শিল্পের প্রতি বিশেষ আগ্রহ তাঁর মনন ও চেতনাকে মহিমান্বিত করেছে। বিগত ১ অক্টোবর ২০০১-এর নির্বাচনে অব্যহতির পূর্বে ও পরে চারদলীয় জোট সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি ভারত, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, মিসর, মালয়েশিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য, মায়ানমার, চীন, সৌদিআরব, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফর করেন।
তিনি বিগত ২০০৮-এর ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসন হতে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। গত ১৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে তিনি মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক র্কমসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।
১৯৬৪ সালে সানোয়ারা বেগমের সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি পাঁচ পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জনক। তিন কন্যার মধ্যে একজন দিলোয়ারা জাহান এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। দিলোয়ারা জাহানের স্মৃতির নিদর্শন স্বরূপ তিনি দিলোয়ারা জাহান স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS